সোস্যাল মিডিয়া যেভাবে আয়ের উৎস হয়ে উঠতে পারে

সোস্যাল মিডিয়া অর্থ হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যেকোনো জায়গায় অবস্থান করেও একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা যায়। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে পরস্পরের ভাব বিনিময় করা সহজ হচ্ছে। 
সোস্যাল-মিডিয়া-যেভাবে-আয়ের-উৎস-হয়ে-উঠতে-পারে

এ মাধ্যমগুলোর জন্যই মূলত পৃথিবীর মানুষের বৈশ্বিক যোগাযোগ আরও দৃঢ় হচ্ছে। এ মাধ্যমগুলোর সহায়তায় পরস্পরের সাথে সামনাসামনি দেখা না করেও মনের ভাব বিনিময় করা যায়। এই মাধ্যমগুলো বর্তমানে বিনোদনের এক অন্যতম প্রধান উৎস। 

এ মাধ্যমগুলো বিভিন্ন অ্যাপ হিসেবে পাওয়া যায়। এরকম কিছু জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো হলো-ফেসবুক, ইনস্ট্রোগ্রাম, হোয়াটস অ্যাপ, লিঙ্কডইন, টুইটার, টিকটক ইত্যাদি।

বর্তমানে এইসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সাথে কমবেশি সবাই পরিচিত। বর্তমানে এইসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো শুধু যোগাযোগ বা বিনোদন নয় বরং আয়ের উৎস হিসেবেও বিপুল পরিচিত। এই মাধ্যমগুলোকে ঘিরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য আয়ের উৎস। তাই মানুষ এই মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করছে। এর ফলে সোস্যাল মিডিয়া আয়ের একটি বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই এই মাধ্যম গুলোকে শুধু বিনোদনের মাধ্যম হিসেবেই গণ্য করে থাকে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে সব অঞ্চলেই ইন্টারনেট সুবিধা রয়েছে (প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চল ব্যতীত)। প্রায় সবাই এই মাধ্যমগুলো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যাবহার করে। 

এর উপর আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার একটি নির্দিষ্ট অংশ বেকার। আবার যুবসমাজের একটি বড় অংশ পর্যাপ্ত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি পায় না। এর ফলে দেশের বেকারত্ব বৃদ্ধি পায় এবং দেশের মোট অর্থনৈতিক আয় হ্রাস পায়। তবে বর্তমান যুবসমাজের প্রায় সকলেই সোস্যাল মিডিয়ার সাথে যুক্ত। তাই এইসব যুবক সমাজের উচিত সোস্যাল মিডিয়াতে অযথা তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে সময়টাকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো। আর এর মাধ্যমে দেশের বেকারত্বও কমিয়ে আনা যেতে পারে।

আবার, আমাদের দেশের কিশোর সমাজের জন্যও পড়াশুনার পাশাপাশি এটি হতে পারে উপার্জনের একটি উৎস। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অযথা সময় নষ্ট না করে এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সোস্যাল মিডিয়াগুলোতে বিভিন্নভাবে শ্রম দিয়ে আমরা উপার্জন করতে পারবো।সোস্যাল মিডিয়াগুলোতে যেভাবে এ করা সম্ভব তার কিছু অভিব্যক্তি নিম্নরূপ-

ফেসবুক 

ফেসবুক হলো একটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বিশ্বের স্বনামধন্য হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের স্টুডেন্ট মার্ক জাকারবার্গ ২০০৩ সালের ২৮ অক্টোবর তৈরি করেছিলেন ফেসবুকের পূর্বসূরি সাইট ফেসমাস। তবে ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ফেসবুক পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বর্তমানে এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ফেইসবুকে মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২৯০ কোটি।

ফেসবুক থেকে যেভাবে আয় করা সম্ভব

ফেইসবুকে কন্টেন্ট তৈরির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়।এজন্য আগে ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে কন্টেন্ট শেয়ার করতে হবে।শেয়ার করা কন্টেন্ট এ দেয়া লাইক, শেয়ার , ভিউ থেকে পেজ মনিটাইজ করে অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে।তবে এক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ ফলোয়ার থাকতে হয়।

সোস্যাল-মিডিয়া-যেভাবে-আয়ের-উৎস-হয়ে-উঠতে-পারে

ফেসবুকের স্পেশাল কমার্স ফিচারটির মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। এই ফিচারটির মাধ্যমে পেজ থেকে ক্রেতাদের সরাসরি অনলাইন স্টোরে নিয়ে যাওয়া যায়। যেসব ব্র্যান্ডের ইতোমধ্যে ফেইসবুকে ছোট পরিসরে ব্যবসা আছে তাদের জন্য সোস্যাল কমার্স ফিচারটির হতে পারে বড় আয়ের একটি সুযোগ।কারণ, এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে ক্রেতাদের পণ্য কেনায় উদ্বুদ্ধ করা হয়। এ জন্য,ফেসবুক পেজের ক্যাটালগ ম্যানেজারে পণ্যের ক্যাটালগ যোগ করতে হবে। ফেসবুক পেজে অর্থের বিনিময়ে সাবস্ক্রিপশন তৈরি করে মাসিক আয় বাড়ানো যায়।

ইনস্টাগ্রাম

ইনষ্ট্রাগ্রাম একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইট। সান ফ্রান্সিসকোতে কেভিন সিস্ট্রম ও মাইক ক্রিগার প্রথম ইনস্ট্রাগ্রামের সূচনা করেন। আইওএস এর জন্য ২০১০ সালে এর সূচনালগ্ন শুরু হয়। ইনস্ট্রগ্রামের মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩০ কোটি।

ইনস্ট্রাগ্রামে যেভাবে আয় করা সম্ভব 

ইনস্ট্রগ্রামে ক্যাপসন বিক্রির মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। ইনস্ট্রোগ্রামে কোনো কিছু পোষ্ট করার জন্য ক্যাপশন দিতে হয়। যার ক্যাপশন যত ভালো তার রিচ ততো বেশি। এমন কিছু ব্যবসায়ী আছেন যাদের প্রোডাক্ট ভালো হওয়া সত্ত্বেও তাদের বিক্রি ভালো হয় না বা তাদের কাছে ভালো ক্যাপশন থাকে না। এরকম ব্যবসায়ীদের কাছে ক্যাপশন বিক্রি করে আয় করা যায়। ইনস্ট্রাগ্রামেও কনটেন্ট শেয়ার করে আয় করা যায়। এর ফলে ভিউ এবং ফলোয়ার যতো বাড়বে আয় ততো বাড়বে।
সোস্যাল-মিডিয়া-যেভাবে-আয়ের-উৎস-হয়ে-উঠতে-পারে

টুইটার

টুইটার হলো একটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইট। টুইটারের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৩৯ কোটি ৬০ লাখ। টুইটার প্রতিষ্ঠা লাভ করে ২০০৬ সালের মার্চ মাসে। টুইটারের প্রতিষ্ঠাতাগণ হলেন-জ্যাক ডরসি, নোয়াহ গ্লাস, বিজ স্টোন এবং ইভান উলিয়ামস। টুইটার আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় ২০০৬ সালে। ২০১২ সালের গণনা থেকে দেখা যায়-তৎকালীন ১০০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী প্রতিদিন ৩৪০ মিলিয়ন টুইট পোস্ট করেন। তবে টুইটারের বর্তমান মালিক হলেন ইলন মাস্ক।তিনি টুইটার ক্রয়ের পর থেকেই এর বিভিন্ন পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।

টুইটার (X) থেকে যেভাবে আয় করা সম্ভব -

টুইটার তাদের প্ল্যাটফর্মের জন্য কাজ করা কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের আয়ের সুযোগ দেওয়ার জন্যই অ্যাড রেভিনিউ শেয়ার প্রোগ্রাম চালু করেছে।এর ফলে কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের কন্টেন্ট টুইট শেয়ার করতে বেশি উদ্বুদ্ধ হয়।এর মাধ্যমে টুইটার ব্যবহারকারী টুইটার মধ্যে প্রদর্শিত বিজওহ্ঞাপন থেকে উপার্জন করতে পারে।কিন্তু এর জন্য তাকে টুইটার কতৃক ভেরিফাইড ব্যবহারকারী হতে হবে।

বর্তমানে অনলাইন থেকে আয় করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে স্পন্সর্ড পোস্টের মাধ্যমে আয় করা।সোস্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে স্পন্সর্ড পোস্ট করে থাকে এবং এর ফলে ভালো আয় হয়ে থাকে।
সোস্যাল-মিডিয়া-যেভাবে-আয়ের-উৎস-হয়ে-উঠতে-পারে
টিপ জার পদ্ধতি ব্যবহার করে টুইটার থেকে আয় করা যায়।যেকোনো শ্রোতা এই টিপ জার আইকনটি ব্যবহার করে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে বিভিন্ন টিপ দিতে পারবে।এই টিপ জার ফিচারটির মূলত মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হয়।এ থেকে আয় করার জন্য নিয়মিত জ্ঞানমূলক ও তথ্যসমৃদ্ধ কন্টেন্ট তৈরি করে শ্রোতাদের কাছে টিপ প্রদান করার জন্য অনুরোধ করতে হয়।

টিকটক

টিকটক হলো এসিয়ার নেতৃস্থানীয় একটি ছোট ভিডিও তৈরির প্লাটফর্ম এবং সামাজিক নেটওয়ার্ক। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঝাং ইয়েমিং টিকটক চালু করেন।তবে ২০১৭ সালে এটি আন্তর্জাতিকভাবে তার যাত্রা শুরু করে। টিকটক মূলত একটি বিনোদনমূলক নেটওয়ার্ক। টিকটক থেকে ইনকাম এর জন্য কিছু শর্ত আছে। যেমন - ব্যবহারকারীর বয়স ১৮ হতে হবে, কমপক্ষে ১০ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে, টিকটক একাউন্টের বয়স এক মাসেরও বেশি হতে হবে।

এখন টিকটক থেকে যেভাবে আয় সম্ভব

টিকটক গিফটের মাধ্যমে আয় করা যায়। নিয়মিত টিকটকে ভিডিও আপলোড করা হলে ব্যবহারকারীর ফলোয়াররা উক্ত ভিডিওটি দেখে যদি পছন্দ করে তাহলে তারা সেখানে গিফট হিসেবে কয়েন উপহার করে থাকে। ফলোয়ারদের দেয়া কয়েনসমূহ ব্যবহারকারীর নিজস্ব একাউন্টে গিয়ে যুক্ত হয়। উক্ত কয়েনের মত পরিমাণ নির্ধারণ করে তা বাংলাদেশী টাকায় বিক্রি করে টিকটক থেকে আয় করা সম্ভব।
সোস্যাল-মিডিয়া-যেভাবে-আয়ের-উৎস-হয়ে-উঠতে-পারে
টিকটকে বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ দেখিয়েও ইনকাম করা সম্ভব। কোনো টিকটক ব্যবহারকারীর একাউন্ট যখন বহুল পরিচিতি লাভ করে তখন বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি তাদের পণ্যের প্রচারের জন্য উক্ত ব্যবহারকারীর নিকট অনুরোধ করে। ব্যবহারকারী তখন ওই পণ্যের ব্যবহার কৌশল, গুণাগুণ, মান, বৈশিষ্ট্য নিয়ে ভিডিও বানিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে । যখন ওই পণ্যের পরিচিতি বৃদ্ধি পায় তখন ওই পণ্য তৈরিকারক কোম্পানি তাদের প্রচারের বিনিময়ে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উক্ত প্রচারকারীকে প্রেরণ করে।

ইউটিউব

ইউটিউব হলো একটি বৈশ্বিক অনলাইন ভিডিও তৈরিকারী প্লাটফর্ম। ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউটিউব তার আত্মপ্রকাশ করে। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে গুগল ইউটিউব সাইটটিকে ১.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে কিনে নেয়। সুরুরদিকে এটি ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে ইউটিউবে ১১৩.৯ মিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় চ্যানেল আছে।

ইউটিউব থেকে যেভাবে আয় সম্ভব

ইউটিউবে বিজ্ঞাপন থেকে উপার্জন করা যায়।বিজ্ঞাপন থেকে আয় করা একদম প্রাথমিক একটি উপায়।ইউটিউবে প্রচারকৃত ভিডিও চলাকালীন যে বিজ্ঞপ্তিগুলো আসে সেই বিজ্ঞপ্তি থেকে কিছু পরিমাণ আয় করা সম্ভব। তবে কোনো বিজ্ঞপন থেকে ঠিক কি পরিমান আয় হচ্ছে তাই ইউটিউবাররা কখনোই জানতে পারে না কারণ এটা গুগল করো নিকট প্রকাশ করে না। তবে একটি ধারণা থেকে বলা যায় যে প্রতি হাজার ভিউএ তিন ডলার থেকে দশ ডলার দেওয়া হয়।
সোস্যাল-মিডিয়া-যেভাবে-আয়ের-উৎস-হয়ে-উঠতে-পারে

ইউটিউবে স্পন্সরশিপ এর মাধ্যমে আয় করা যায়। তবে এক্ষেত্রে এই স্পন্সরশিপ থেকে শুধু তারাই আয় করতে পারে যাদের অনেক বেশি ফলোয়ার আছে। এক্ষেত্রে কোনো ইউটিউবারের ভিডিওতে অনুরোদকারী কোম্পানির কথা বলে তাদের কোম্পানির প্রচারের বিনিময়ে উক্ত কোম্পানি ওই ইউটিউবারকে মূল্য পরিশোধ করে। 

মন্তব্য

পরিউক্ত পদ্ধতিগুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে অনলাইনে আয় করা সম্ভব। এক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট মাধ্যম থেকে আয়ের মাধ্যম সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য আগ্রহীদের উচিত গুগল থেকে তথ্য সংগ্রহ করা। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত আপনারা যারা এইসব থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তারা যে কোন একটা বেছে নিয়ে তার পিছনে দীর্ঘ সময় ধরে লেগে থেকে চেষ্টা করুন ইনশাল্লাহ সফলতা পাবেন।

পরিশেষে সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি যারা কষ্ট করে এই পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। এইরকম পোস্ট আরো পেতে আমাদের সাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। আপনি কি ধরনের কনটেন্ট চাচ্ছেন সেইটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। কোন তথ্যগত ভুল থাকলে তা ক্ষমা করে দিবেন এবং কমেন্ট এর মাধ্যমে সংশোধন করার সুযোগ করে দিবেন, আসসালামু আলাইকুম। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url