প্রযুক্তি যেভাবে আমাদের জিবনকে আরও সহজ করে তোলে

প্রযুক্তি কী

প্রযুক্তি হলো ইন্টারনেট ও কম্পিউটার্ভিত্তিক কিছু সরঞ্জাম যা মানবকল্যাণের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়। প্রযুক্তি মূলত মানুষের কল্যাণের জন্যই তৈরি করা হয় তবে প্রযুক্তির সঠিকভাবে ব্যবহার থেকেই একমাত্র বোঝা সম্ভব কোন প্রযুক্তি মানুষের জন্য বেশি সহযোগিতাপূর্ণ হবে। আরেকভাবে বলা যায় যে, প্রযুক্তি হলো বিজ্ঞানের প্রায়োগিক রূপ।মানুষের চিন্তাধারাকে বাস্তবে প্রায়োগিক রূপ দেওয়াকেও প্রযুক্তি বলা হয়ে থাকে তবে এক্ষেত্রে প্রায়োগিক রূপটিকে হতে হয় বস্তুগত।
প্রযুক্তি-যেভাবে-আমাদের-জিবনকে-আরও-সহজ-করে-তোলে

এই সকল প্রযুক্তি থেকে মানুষ নানা ভাবে উপকৃত হয়। প্রযুক্তির উদ্ভাবক হলো মানুষ। আর এই প্রযুক্তি তৈরিও করা হয় মানবকল্যাণের জন্য।আবার দিনশেষে এই প্রযুক্তির অপব্যবহারও মানুষই করে থাকে। এর অপব্যবহারের ফলে আমাদেরই ক্ষতি হয়। তাই আমাদের সকলের উচিত প্রযুক্তির কল্যাণকর দিকটি গ্রহণ করা এবং অপ্রায়োজনীয় দিকটি বর্জন করা। 

বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক সহজলভ্য। এককথায় মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়ে ও ধাপে প্রযুক্তির প্রভাব বিদ্যমান। চিকিৎসা ক্ষেত্রে, শিল্প উন্নয়নে, অর্থনীতিক, সামাজিক, সাহিত্যে - প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষণীয়। প্রযুক্তির ব্যবহার প্রতিনিয়ত আমাদের জীবনকে সহজ থেকে সহজতর করে তুলছে।

প্রযুক্তির কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যবহার নিম্নে আলোচনা করা হলো

চিকিৎসাক্ষেত্রে 

টেলিমেডিসিন সেবা

টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও চিকিৎসা প্রদান করা হয়।এই মাধ্যম দেশের যেকোনো প্রান্তের মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারে।

রোগ নির্ণয়ে

চিকিৎসা প্রদানের পূর্ব শর্ত হলো রোগীর প্রকৃত রোগ চিহ্নিত করা। রোগীর প্রকৃত রোগ চিহ্নিত করা সম্ভব না হলে সঠিক চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। যেমন: X-রে এর মাধ্যমে শরীরের অস্থির (অস্তি অর্থ হলো হার) অবস্থা জানা যায়। আবার MRI ও সিটিস্ক্যান এর মাধ্যমে দেহের ক্যান্সারসহ সকল রোগের সংক্রমণ সনাক্ত করা যায়।আল্ট্রাসনোগ্রাফি এর মাধ্যমে মাতৃজরায়ুতে ফ্রুনের অবস্থা নির্ণয় করা যায়। আল্ট্রাস্নোগ্রাফি এর মাধ্যমে নারীসুলভ রোগও নির্ণয় করা যায়। ইসিজি তথা ইলেকট্রকার্ডিওগ্রাম এর মাধ্যমে হৃদরোগের উপস্থিতি নির্ণয় করা যায়। Ett এর মাধ্যমেও হৃদরোগের উপস্থিতি নির্ণয় করা যায়। এছাড়াও আরো অনেক রোগ নির্ণয় যন্ত্রাংশ বর্তমানে আছে।

রোগ নিরাময়ে

রোগ নিরাময়ে বা কোনো রোগের চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রেও প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষণীয়।

1. কিডনি বিকল হয়ে গেলে দেহে অপরিশোধিত রক্তের পরিমাণ বেড়ে যায়।ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস মেশিনের সহায়তায় রক্ত ডায়ালাইসিস ফ্লুইড এর মাধ্যমে রক্ত পরিশোধিত করা হয়।

2. কোনো কারণে হৃদপিণ্ড অকেজো হয়ে গেলে এটি এর ছন্দ ময়তা হারিয়ে ফেলে। তাই হৃদপিণ্ডের এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য বৈদ্যুতিক পেসমেকার সংযুক্ত করা হয়।

3. দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত থাকলে হৃদপিণ্ড বিকল হয়ে যায়। এক্ষেত্রে হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা নিতে হয়।তবে সুস্থ হৃদপিণ্ড পাওয়া না গেলে মেক্যানিক্যাল হার্ট ইমপ্ল্যন্ট বা লেফ্ট ভেন্ট্রিকুলার আ্যসিস্ট ডিভাইস লাগানো হয়।

শিক্ষাক্ষেত্রে

শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির অবদান ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। ইন্টারনেটকে বর্তমানে শিক্ষা ও জ্ঞানের আধার বলা হয়।

ই -লার্নিং

ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষাই হচ্ছে ই -লার্নিং। প্রচলিত শ্রেণীকক্ষে স্ব শরীরে উপস্থিত না থেকেও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি অর্থাৎ কম্পিউটার,মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাব,ইন্টারনেট, ই -মেইল ইত্যাদি অনলাইন ভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে পারস্পারিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার পদ্ধতিকেই ই-লার্নিং বলা হয় ।

ই -লার্নিং এর সুবিধা

ই লার্নিং এর মাধ্যমে শ্রেণীকক্ষে স্ব শরীরে উপস্থিত না হয়েই ক্লাস করা যায়। এক্ষেত্রে ক্লাসগুলো ডাউনলোড করে পরবর্তীতেও দেখা যায় এর ফলে কোনো ব্যাপার বুঝতে শিক্ষার্থীদের বারবার শিক্ষকের শরণাপন্ন হতে হয় না।
  • এক্ষেত্রে একসাথে অনেক শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা সম্ভব।

  • উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকদের কাছে পড়ার সুযোগ হয়, যে সুযোগ অফলাইন ক্লাসে সম্ভব হয়ে ওঠে না।

  • শিক্ষার্থীদের বারবার বাইরে বের হয়ে হয়রানির সমূক্ষিণ হতে হয় না।

  • সময়ের পুরো ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।

  • এক্ষেত্রে ই -বুক ব্যবহার করে অনায়াসে যেকোনো জায়গায় বহন করে নিয়ে যাওয়া যায়। এর জন্য আলাদা কোনো লাইব্রেরির প্রয়োজন হয় না। অনেকক্ষেত্রে যে সকল বই আমার অধিক মূল্যের কারণে কিনে পড়তে পারি না, সেই জয়গায় দাঁড়িয়ে ই-বুকে সহজেই যেকোনো বই ডাউনলোড করে পড়া যায়।

  • বর্তমানে শিক্ষাদানে ডিজিটাল বোর্ড ব্যবহার করা হয়। অনেকক্ষেত্রে অনেক পড়া আছে যা শুধু পুস্তক ফিত্তিক পড়ানো হলে বোঝা যায় না তবে সরাসরি দেখানো গেলে তাও বেশিক্ষণ মাথায় ধরে রাখা সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে ডিজিটাল বর্ডগুলোতে প্রাকটিক্যাল ভিডিও দেখার মাধ্যমে বা ত্রিমাত্রিক ভিডিও দেখানোর মাধ্যমে সহজে বোঝানো যায়।

বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে

ই -কমার্স

ইলেকট্রনিক কমার্সকেই ই-কমার্স বলে। ইন্টারনেট বা কম্পিউটার্ভিত্তিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয় বিক্রয় ,সরবরাহ ,পরিবহন, ব্যবসা বিষয়ক লেনদেন ইত্যাদি কাজকে সিমিল্লীতভাবে ই কমার্স বলা হয়।১৯৬০ সালে EDI এর মাধ্যমে ই কমার্সের যাত্রা শুরু হয়। দিন দিন ই কমার্সের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।অর্থ লেনদেনের জন্য লোকজন অনেকাংশেই এর উপর নির্ভরশীল। ই কমার্সের সুবিধা -

    • সহজে যেকোন পণ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
    • ক্রয় বিক্রয় পদ্ধতি অনেক সহজ।
    • পণ্যের গুণগত মান উন্নয়ন সম্ভব
    • অল্প খরচে উন্নত সেবা পাওয়া যায়।
    • ক্রেতারা স্ব শরীরে উপস্থিত না থেকেই পছন্দসই জিনিস বা পণ্য বাছাই করতে পারে।
    • এসকল ব্যবসা সহজেই শুরু এবং পরিচালনা করা যায়।

মোবাইল কমার্স

মোবাইলের মাধ্যমে ই কমার্সের সুবিধা লোকজনের নিকট পৌঁছে দেওয়ার পদ্ধতিকেই মোবাইল কমার্স বলা হয়। মোবাইল কমার্সের মাধ্যমেও ই কমার্সের ন্যায় সুবিধা প্রদান করা যায়। এছাড়াও উৎপাদন ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিতে অধিক উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। আবার উন্নত গুণসম্পন্ন জাতের ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে। ফলে দেশের বাইরে এইসব ফসল রপ্তানি করে দেশের অরথনৈতিক আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রযুক্তি-যেভাবে-আমাদের-জিবনকে-আরও-সহজ-করে-তোলে

আবার উন্নত যন্ত্রের ব্যবহারের ফলে যেকোনো পণ্য উৎপাদন সহজ হচ্ছে। এ দিক থেকে দেখতে গেলে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে আমাদের দেশে বর্তমানে পোশাক শিল্পে অনেক এগিয়ে রয়েছে যা আমাদের মোট অর্থনৈতিক আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রযুক্তি

বর্তমানে এই প্রযুক্তি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও ব্যাপকভাবে ভূমিকা রেখে চলেছে। বিভিন্ন মুক্ত পেশার সুযোগ তৈরি হচ্ছে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে। 

আউটসোর্সিং-এ প্রযুক্তি

অনলাইন মার্কেট প্লেস থেকে অনেকধরণের কাজের মধ্য থেকে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী কোনো নির্দিষ্ট কাজ খুঁজে নিয়ে তা থেকে আয় করার মাধ্যমে যে উন্মুক্ত পেশা বা কাজের সৃষ্টি হয় তাকে মূলত আউটসোর্সিং বলা হয়। এর মাধ্যমে কাউকে সরাসরি অফিসে গিয়ে কাজ করতে হয় না। আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠীর কাজের সংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি বিকাশের সাথে সাথে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে বিপুল পরিমাণ সেটা প্রসেসিংয়ের প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে। 

এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উন্নয়সীল দেশের জনশক্তিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। এর পাশাপাশি দেশের বেলার জনগোষ্ঠীকেও কাজে লাগানো যাচ্ছে। আউটসোর্সিং কাজে ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে আছে- গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (SEO), ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, আর্টিকেল ব্লগ রাইটিং ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং-এ প্রযুক্তি

নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের আওতায় কাজ না করে স্বাধীনভাবে বা নিজ উদ্যোগে কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। ফ্রিল্যান্সাররা চাকরিজীবীদের মতো মাসিক বেতনভুক্ত নয়। বরং ফ্রিল্যান্সারা চুক্তিভিত্তিক কাজ করে থাকে। তবে এ পেশা নিজের ইচ্ছামত করা যায় । এক কথায় এ কাজে ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। বর্তমানে চাকরিজীবী, ছাত্র ছাত্রী সহ আরো অনেকে এটিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছে।

অনলাইন চাকরি বাছাই

বর্তমানে অনলাইন পছন্দসই চাকরির আবেদন করা যায়।কিছু অনলাইন ওয়েব পোর্টাল রয়েছে যেখান থেকে তাৎক্ষণিকভাবে দেশি বিদেশি সকল ধরনের চাকরির বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়।এ ধরনের কিছু অনলাইন ওয়েব পোর্টাল হলো -charki.com; everjobs.com; bdjobs.com ইত্যাদি।

দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তি

বর্তমানে সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে রাতে আবার ঘুমানোর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত মানুষ প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। যেমন- একটি সাধারণ দিনের কথাই ধরা যাক। আমরা সকালে সময়মত ওঠার জন্য মোবাইল বা ঘড়িতে অ্যালার্ম সেট করে রাখি। সকালের নাস্তা বানানোর জন্য ইনডাকশন কুকার, কারী কুকার, ওভেন ইত্যাদি ব্যবহার করি। আবার বেছে যাওয়া খবর সংরক্ষণের জন্য রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করা হয়। অফিসে বা স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত কিছু যানবহন ব্যবহার করতে হয়। 

অনেকক্ষেত্রে উবার অ্যাপ (উবার হলো স্মার্ট ফোন ফিত্তিক ট্যাক্সি সেবার নেটওয়ার্ক) ব্যবহার করে ট্যাক্সি ভাড়া করা যায় । রাস্তায় জ্যাম সৃষ্টি হলে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিক সিগন্যাল দেওয়া হয়। অফিসে গিয়ে কম্পিউটারে কাজ করতে হয় আর এর জন্য ইন্টারনেট কানেকশনের প্রয়োজন হয়। কাজ শেষে আবারও যানবহন করে বাসায় আসতে হয়। ক্লান্ত শরীরকে রেস্ট দেওয়ার জন্য ইলেকট্রিক পাখা বা ফ্যান বা এসি এর মাধ্যমে ঘরকে ঠান্ডা রাখা হয়। আবার ঠান্ডার দিন ঘরকে উষ্ণ রাখার জন্য রুম হিটার ব্যবহার করা হয়। বেছে থাকার জন্য নিরাপদ পানি পান করা জরুরি। 

এই পানিকে বিশুদ্ধ করার জন্য আবার ইলেকট্রিক ফিল্টার ব্যবহার করা হয়।বিনোদনের জন্য টিভি বা স্মার্টফোন ব্যবহার করে সিনেমা, চলচ্চিত্র, নাটক, বিভিন্ন খেলার টুর্নামেন্ট দেখা যায় ইত্যাদি। আবার অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পড়াশুনায় আরও ভালো করা সম্ভব। আমরা সারাদিন কোনোনা কোনোভাবে প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। পিবর্তমানে প্রযুক্তি ব্যতীত একটি দিনও কল্পনা করা যায় না। উন্নত দেশগুলোতে জীবনযাপনকে আরও সহজ করার জন্য স্মার্ট হোম সুবিধা চালু হয়েছে।এ সম্পর্কে নিম্নে দেয়া হলো

স্মার্ট হোম

স্মার্ট হোম হলো এমন একটি বাসস্থান, যেখানে রিমোট কন্ট্রোলিং বা প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে একটি বাড়ির সকল সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করা যায়।স্মার্ট হোম পদ্ধতিকে Home automation system বলা হয়। স্মার্ট হোমের সুবিধা-
  • ঘরে বসেই অফিসের কাজ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
  • বিশেষ ধরনের রিমোট কন্ট্রোলিং ডিভাইসের মাধ্যমে শুধু জিকমান্ড দেওয়ার মাধ্যমে ঘরের দরজা জানালা খোলা বন্ধ করা যায়,বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস অন অফ করা যায়।
  • বাহিরে থাকাকালীন বাড়িতে কেউ প্রবেশ করলে সিকুরিটি আলার্মের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে সংকেত প্রদানের মাধ্যমে সতর্ক বার্তা দেয়া হয়।
  • রোবটের সাহায্যে বাড়ির নিত্য নৈমিত্তিক কাজ করানো যায়।
  • এক জায়গায় অবস্থান করেই বাড়ির সকল ডিভাইস পরিচালনা করা যায়।
  • স্মার্ট হোমের ক্যামেরা বা সেন্সর সরাসরি পুলিক বা কন্ট্রোল রুমের সাথে সংযুক্ত থাকার কারণে বাড়িতে কোনো ধরনের সন্ত্রাসীর, চোরের অনুপ্রবেশ বা যেকোনো দুর্ঘটনা এড়ানো যায় ইত্যাদি।

এসকল ক্ষেত্র ছাড়াও বিনোদন ক্ষেত্রে, কৃষি ক্ষেত্রে, ব্যাংকিং সেবা প্রদানে, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, এ এই, গবেষণায়, মহাকাশ অভিযান, পরিবহন ক্ষেত্রে, সামাজিক যোগাযোগ সৃষ্টিতে এক কথায় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির অবদান অকল্পনীয়। প্রযুক্তির ব্যবহারের ভালো এবং খারাপ উভয় দিকই আছে।তবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাওয়া ফল নির্ভর করবে ব্যবহারকারীর মানসিকতার উপর। প্রযুক্তি আমাদের জীবনের সাথে পুরোপুরি মিশে আছে। 

প্রযুক্তি-যেভাবে-আমাদের-জিবনকে-আরও-সহজ-করে-তোলে

তাই প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্র লিখে শেষ করার মতো না। প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দিচ্ছে। দিন শেষে আমরা সকলেই এর উপর নির্ভরশীল। তাই আমাদের সকলের উচিত প্রযুক্তির খারাপ দিকগুলোকে বর্জন করে এর ভালো দিকগুলোকে বেছে নেওয়া। প্রযুক্তিকে সর্বদা মানব কল্যানের জন্য তৈরি করা হয় তাই এটির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

শেষ কথা

পরিশেষে বলা যায় যে, প্রযুক্তি ছাড়া জীবনের কোন পদক্ষেপ এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া ও বাস্তবায়ন করা সম্পূর্ণ অসম্ভব। প্রতিটি মানুষ প্রযুক্তির সাথে এতো গাঢ়ো ভাবে মিশে গেছে যে ই্টা ছাড়া এখন এ ধাপ দেওয়াটাও বোকামি ছাড়া আর কিছু না। তাই বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান-ধারণা প্রত্যেকর মধ্যেই বিরাজমান থাকা জুরুরি হয়ে পড়েছে।

এতোক্ষণ কষ্ট করে পুরোটাই পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আবার কোন এক নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে সেই পর্যন্ত সকলের সুস্বাস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আমাদের নিয়মিত পোস্ট পেতে নিয়মিত সাইট ভিজিট করুন এবং আমাদের পাশে থাকবেন। কোন প্রকার ভুল তথ্য মনে হলে তা অবশ্যই গঠনমূলক আরোচনা করবেন কমেন্ট এর মাধ্যমে যেনো আমরা সংশোধন করতে পারি। ভালো থাকবেন আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url